287628
শিরোনামঃ
বন্যপ্রাণী রক্ষায় নতুন প্রজন্মের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য- পরিবেশ উপদেষ্টা কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা মোংলায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের তারেক রহমানের পক্ষে সহায়তা প্রদান বিএনপি প্রতিশোধ পরায়ণ দল নয় : নুরুদ্দিন অপু ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের বিক্ষোব ও মশাল মিছিল টিসিবির মাধ্যমে দেশীয় চিনি বিক্রি শুরু হয়েছে এবং তা চলমান থাকবে-শিল্প উপদেষ্টা  বাংলাদেশ মিশন আদ্দিস আবাবায় ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম এর উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় শুভ'র কবর জিয়ারত করলেন শিল্প উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২৫ উদযাপন 'আইএলও' তিনটি কনভেনশন একসঙ্গে অনুসমর্থন এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত-- শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না গণঅধিকার পরিষদ

#
news image

বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে প্রার্থী দিবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকালে দিনাজপুর ইনস্টিটিউট মাঠে গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন। 

দিনাজপুর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সমাবেশে সভাপতিত্বে

তিনি বলেন, জামাতের আমির, ইসলামী আন্দোলনের আমিরসহ যে সমস্ত জাতীয় নেতৃবৃন্দ গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখবেন,তারাও যেনো সম্মান দেখিয়ে যেন এসব জাতীয় নেতৃবৃন্দের এলাকায় প্রার্থী না দিয়ে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেন।

 সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর আরো বলেন, দিনাজপুরে একসময় একটি চিনিকল ছিল, আজ সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। তবে শুধু দিনাজপুর নয়—রংপুর, কুষ্টিয়াসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় সমৃদ্ধ চিনিশিল্প ও পাটশিল্প ছিল। এসব শিল্প বিদেশি ষড়যন্ত্রে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়ে।

নুরুল হক নুর বলেন, ২৪-এর অভ্যূত্থানের আগে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদসহ কেউ সভা সমাবেশ করতে পারেনি। এখন রাজনৈতিক দলগুলো সভা সমাবেশ করছে, কেউ কোনো বাধা দিচ্ছে না। জুলাই সনদ গণভোটে প্রতিষ্ঠিত হবে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হবে। যেখানে উচ্চকক্ষে ১০০ ও নিম্ন কক্ষে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ ৩৫০ জন সদস্য হবে। প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চ কক্ষের সদস্য হবে। জোট করলেও ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে। বিভিন্ন স্থানে কিছু ঘটনা ঘটছে কিছু অসুস্থ মানসিকতার নেতৃবৃন্দের কারণে।

তিনি বলেন, সরকার কৃষকের ফসল উৎপাদনের সময় এলসি ওপেন করায় কৃষক ন্যায্য মূল্য পান না, যা কৃষিকাজে তাদের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। কৃষি প্রধান দেশ হয়েও আমাদেরকে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভারতের কারণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে করে উত্তরের মানুষ প্রতিবছর বন্যায় ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগামীতে পররাষ্ট্রনীতি শক্তিশালী করতে হবে। নতুন কৃষি নীতি করতে হবে।

তিনি বলেন, ৫০ বছরের পুরোনো রাজনীতি, দুর্নীতি আপনারা দেখেছেন। যারাই ক্ষমতায় গেছে সবাই একই পথে হেটেছে। তাই তরুণদের ভোট দিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। তরুণরাই পারবে আগামীর বাংলাদেশকে বদলে দিতে। এবারের রক্ত আমরা কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেব না।

নুরুল হক নুর বলেন, আমরা তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে, নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দৃঢ়ভাবে বলতে চাই—এই বন্ধ হয়ে যাওয়া চিনিশিল্প ও পাটশিল্পগুলোকে পুনরায় চালু করতে হবে। কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে আমাদের কৃষকের স্বার্থ সর্বাগ্রে রাখতে হবে। এজন্য একটি নতুন ও যুগোপযোগী কৃষিনীতি প্রণয়ন করতে হবে, যাতে কৃষক লাভবান হন এবং কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে আমাদের শিক্ষিত তরুণ সমাজের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলে, পরিকল্পিত অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করে দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ও গতিশীল করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ৫০ বছরে আমরা দেখেছি পুরোনো ধাঁচের রাজনীতি— দুর্নীতি, তোলাবাজি, লুটপাট ও দখলদারির রাজনীতি। সেই প্রথাগত রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আগামীর বাংলাদেশে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দখলবাজির কোনো স্থান থাকবে না। রাজনীতিতে মাফিয়া বা দুষ্কৃতিকারীদের কোনো জায়গা থাকবে না।

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহীদুল ইসলাম ফাহিম, হানিফ কান রাজিব, নির্বাহী সদস্য মো. কামালসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

দিনাজপুর প্রতিনিধি

৮-১১-২০২৫ রাত ১০:৪৬

news image

বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে প্রার্থী দিবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকালে দিনাজপুর ইনস্টিটিউট মাঠে গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন। 

দিনাজপুর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সমাবেশে সভাপতিত্বে

তিনি বলেন, জামাতের আমির, ইসলামী আন্দোলনের আমিরসহ যে সমস্ত জাতীয় নেতৃবৃন্দ গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখবেন,তারাও যেনো সম্মান দেখিয়ে যেন এসব জাতীয় নেতৃবৃন্দের এলাকায় প্রার্থী না দিয়ে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেন।

 সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর আরো বলেন, দিনাজপুরে একসময় একটি চিনিকল ছিল, আজ সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। তবে শুধু দিনাজপুর নয়—রংপুর, কুষ্টিয়াসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় সমৃদ্ধ চিনিশিল্প ও পাটশিল্প ছিল। এসব শিল্প বিদেশি ষড়যন্ত্রে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়ে।

নুরুল হক নুর বলেন, ২৪-এর অভ্যূত্থানের আগে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদসহ কেউ সভা সমাবেশ করতে পারেনি। এখন রাজনৈতিক দলগুলো সভা সমাবেশ করছে, কেউ কোনো বাধা দিচ্ছে না। জুলাই সনদ গণভোটে প্রতিষ্ঠিত হবে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হবে। যেখানে উচ্চকক্ষে ১০০ ও নিম্ন কক্ষে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ ৩৫০ জন সদস্য হবে। প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চ কক্ষের সদস্য হবে। জোট করলেও ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে। বিভিন্ন স্থানে কিছু ঘটনা ঘটছে কিছু অসুস্থ মানসিকতার নেতৃবৃন্দের কারণে।

তিনি বলেন, সরকার কৃষকের ফসল উৎপাদনের সময় এলসি ওপেন করায় কৃষক ন্যায্য মূল্য পান না, যা কৃষিকাজে তাদের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। কৃষি প্রধান দেশ হয়েও আমাদেরকে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভারতের কারণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে করে উত্তরের মানুষ প্রতিবছর বন্যায় ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগামীতে পররাষ্ট্রনীতি শক্তিশালী করতে হবে। নতুন কৃষি নীতি করতে হবে।

তিনি বলেন, ৫০ বছরের পুরোনো রাজনীতি, দুর্নীতি আপনারা দেখেছেন। যারাই ক্ষমতায় গেছে সবাই একই পথে হেটেছে। তাই তরুণদের ভোট দিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। তরুণরাই পারবে আগামীর বাংলাদেশকে বদলে দিতে। এবারের রক্ত আমরা কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেব না।

নুরুল হক নুর বলেন, আমরা তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে, নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দৃঢ়ভাবে বলতে চাই—এই বন্ধ হয়ে যাওয়া চিনিশিল্প ও পাটশিল্পগুলোকে পুনরায় চালু করতে হবে। কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে আমাদের কৃষকের স্বার্থ সর্বাগ্রে রাখতে হবে। এজন্য একটি নতুন ও যুগোপযোগী কৃষিনীতি প্রণয়ন করতে হবে, যাতে কৃষক লাভবান হন এবং কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে আমাদের শিক্ষিত তরুণ সমাজের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলে, পরিকল্পিত অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করে দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ও গতিশীল করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ৫০ বছরে আমরা দেখেছি পুরোনো ধাঁচের রাজনীতি— দুর্নীতি, তোলাবাজি, লুটপাট ও দখলদারির রাজনীতি। সেই প্রথাগত রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আগামীর বাংলাদেশে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দখলবাজির কোনো স্থান থাকবে না। রাজনীতিতে মাফিয়া বা দুষ্কৃতিকারীদের কোনো জায়গা থাকবে না।

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহীদুল ইসলাম ফাহিম, হানিফ কান রাজিব, নির্বাহী সদস্য মো. কামালসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।