287628
শিরোনামঃ
বায়তুল মুকাররম মসজিদে ইবাদতবান্ধব ধর্মীয় আবহ তৈরি হয়েছে- ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার পর জাপানে বিওয়াইডি সিলায়ন ৬ উন্মোচন টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দেশের জনগণ এখন নির্বাচনমুখী : নুরুদ্দিন অপু বন্যপ্রাণী রক্ষায় নতুন প্রজন্মের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য- পরিবেশ উপদেষ্টা কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা মোংলায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের তারেক রহমানের পক্ষে সহায়তা প্রদান বিএনপি প্রতিশোধ পরায়ণ দল নয় : নুরুদ্দিন অপু ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের বিক্ষোব ও মশাল মিছিল টিসিবির মাধ্যমে দেশীয় চিনি বিক্রি শুরু হয়েছে এবং তা চলমান থাকবে-শিল্প উপদেষ্টা 

নগরবাসীর সুবিধায় সময় বাড়ছে মেট্রোরেল চলাচলের

#
news image

মাত্র আড়াই বছর পেরোত না পেরোতই রাজধানীবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়েছে মেট্রোরেল। বিদ্যুৎচালিত এই দ্রুতগতির বাহনে প্রতিদিন সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ যাত্রী যাতায়াত করে। বিশেষ দিনগুলোতে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। লক্ষ্য ছিল, উত্তরা-মতিঝিল-উত্তরা রুটে ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা। কিন্তু কোচ সংকটের কারণে টিকেট সংগ্রহের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষমান থাকার বিপরীতে মেট্রো যাত্রীরা বিকল্প রূপে চলাফেরা করতে বাধ্য হওয়ায় টার্গেট যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম হচ্ছে না মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীতে যাত্রী পরিবহন করছে মেট্রোরেল। বর্তমানে বাহনটি দিনে প্রায় ২০০ বার উত্তরা-মতিঝিল-উত্তরা রুটে যাতায়াত করছে। দিন দিন এর যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। তবে ট্রেনে আসন সংখ্যা নির্ধারিত থাকায় একই সময়ে বেশি যাত্রী পরিবহন সম্ভব হচ্ছে না। তাই যাত্রী চাহিদা মেটাতে আরও ১০ ট্রিপ ট্রেন বাড়ানোর চেষ্টা করছে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএলের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, চাহিদা এত বেশি যে অনেক সময় যাত্রীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে মন্ত্রণালয় থেকেও ট্রেন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য চাপ রয়েছে। তবে ট্রেনের কোচ সংখ্যা বাড়ানো আপাতত সম্ভব নয়।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেলের ৬টি কোচের ২৪ সেট ট্রেন আছে। ভবিষ্যতে এটিকে ৮ কোচে উন্নীত করা যাবে। কিন্তু চাহিদা থাকলেও কিছু কারণে কারণে প্রতিটি সেট ট্রেনে আরও ২টি কোচ লাগানো যাচ্ছে না। বর্তমানে ৬ কোচের ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ মানুষ একসঙ্গে চড়তে পারেন। ফলে নতুন ১০ ট্রিপ ট্রেন বাড়লে আরও ২৩ হাজার মানুষ পরিবহন করতে পারবে মেট্রোরেল। প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি) নালাগানো , নতুন করে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগ ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চাহিদা পুরন না হওয়ার কারণে নতুন দুটি কোচ লাগানো সম্ভব হচ্ছে না । ফলে আপাতত সেই পথে হাঁটছে না ডিএমটিসিএল

তবে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা ট্রেন চলাচলের সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে কোচ বাড়ানোকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। তারা বলছেন, এমনিতেই শুধু যাত্রী পরিবহন করে খরচ তুলতে পারছে না মেট্রোরেল। ট্রেন চলাচলের সংখ্যা বাড়লে, খরচ বাড়বে। এটির চেয়ে দুটি কোচ বাড়ানোকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য বর্তমানে আরও ১০ ট্রিপ ট্রেন চালানো যায় কিনা, সেটি নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ডিএমটিসিএলে চাপ দেওয়া হয়েছে। এতে আরও ট্রেন চালাতে ডিএমটিসিএল চেষ্টা করছে। বর্তমানে লোকবল যথেষ্ট না থাকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই এমআরটি লাইন-৬ এ নতুন ১০ ট্রিপ ট্রেন যুক্ত হবে।

দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, যে ১০টি সময়ে ট্রেন চালানো হবে, তার একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় যাত্রীরা সকাল ৬টার পর থেকেই ট্রেনে যাতায়াত শুরু করতে পারবেন। আর সর্বশেষ ট্রেনেও যাতায়াত যাবে রাত ১০টার পরে।

প্রতিদিন লাইনের নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে সকাল ৬টা ও সাড়ে ৬টায় দুটি ‘সুইপিং ট্রেন’ চালানো হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দ্বিতীয় সুইপিং ট্রেনেই (সকাল সাড়ে ৬টা) প্রথম ট্রিপ শুরু হবে। এতে শুধুমাত্র এমআরটি পাস ও র‌্যাপিড পাসধারী যাত্রীরা উঠতে পারবেন। তবে ট্রেনটি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার গতিতে চলবে। এরপর উত্তরা থেকে সকাল ৭টায় দ্বিতীয় ট্রিপ ছাড়বে। মতিঝিল থেকে ছাড়তে পারে যথাক্রমে সকাল ৭টা ১০ ও ৭টা ২০ মিনিটে। বর্তমানে উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে এবং মতিঝিল থেকে সকাল সাড়ে ৭টায়।

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাতে আরও ৬টি ট্রেন চলবে। এখন শেষ ট্রেন ছাড়ে উত্তরা থেকে রাত ৯টায় এবং মতিঝিল থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। তবে নতুন সূচিতে উত্তরা থেকে রাত ৯টা ১০, ৯টা ২০ ও ৯টা ৩০ মিনিটে ট্রেন ছাড়বে। মতিঝিল থেকে ছাড়তে পারে রাত ৯টা ৫০, ১০টা ও ১০টা ১০ মিনিটে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১-৯-২০২৫ দুপুর ১১:৫৫

news image

মাত্র আড়াই বছর পেরোত না পেরোতই রাজধানীবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়েছে মেট্রোরেল। বিদ্যুৎচালিত এই দ্রুতগতির বাহনে প্রতিদিন সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ যাত্রী যাতায়াত করে। বিশেষ দিনগুলোতে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। লক্ষ্য ছিল, উত্তরা-মতিঝিল-উত্তরা রুটে ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা। কিন্তু কোচ সংকটের কারণে টিকেট সংগ্রহের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষমান থাকার বিপরীতে মেট্রো যাত্রীরা বিকল্প রূপে চলাফেরা করতে বাধ্য হওয়ায় টার্গেট যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম হচ্ছে না মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীতে যাত্রী পরিবহন করছে মেট্রোরেল। বর্তমানে বাহনটি দিনে প্রায় ২০০ বার উত্তরা-মতিঝিল-উত্তরা রুটে যাতায়াত করছে। দিন দিন এর যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। তবে ট্রেনে আসন সংখ্যা নির্ধারিত থাকায় একই সময়ে বেশি যাত্রী পরিবহন সম্ভব হচ্ছে না। তাই যাত্রী চাহিদা মেটাতে আরও ১০ ট্রিপ ট্রেন বাড়ানোর চেষ্টা করছে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএলের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, চাহিদা এত বেশি যে অনেক সময় যাত্রীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে মন্ত্রণালয় থেকেও ট্রেন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য চাপ রয়েছে। তবে ট্রেনের কোচ সংখ্যা বাড়ানো আপাতত সম্ভব নয়।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেলের ৬টি কোচের ২৪ সেট ট্রেন আছে। ভবিষ্যতে এটিকে ৮ কোচে উন্নীত করা যাবে। কিন্তু চাহিদা থাকলেও কিছু কারণে কারণে প্রতিটি সেট ট্রেনে আরও ২টি কোচ লাগানো যাচ্ছে না। বর্তমানে ৬ কোচের ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ মানুষ একসঙ্গে চড়তে পারেন। ফলে নতুন ১০ ট্রিপ ট্রেন বাড়লে আরও ২৩ হাজার মানুষ পরিবহন করতে পারবে মেট্রোরেল। প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি) নালাগানো , নতুন করে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগ ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চাহিদা পুরন না হওয়ার কারণে নতুন দুটি কোচ লাগানো সম্ভব হচ্ছে না । ফলে আপাতত সেই পথে হাঁটছে না ডিএমটিসিএল

তবে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা ট্রেন চলাচলের সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে কোচ বাড়ানোকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। তারা বলছেন, এমনিতেই শুধু যাত্রী পরিবহন করে খরচ তুলতে পারছে না মেট্রোরেল। ট্রেন চলাচলের সংখ্যা বাড়লে, খরচ বাড়বে। এটির চেয়ে দুটি কোচ বাড়ানোকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য বর্তমানে আরও ১০ ট্রিপ ট্রেন চালানো যায় কিনা, সেটি নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ডিএমটিসিএলে চাপ দেওয়া হয়েছে। এতে আরও ট্রেন চালাতে ডিএমটিসিএল চেষ্টা করছে। বর্তমানে লোকবল যথেষ্ট না থাকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই এমআরটি লাইন-৬ এ নতুন ১০ ট্রিপ ট্রেন যুক্ত হবে।

দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, যে ১০টি সময়ে ট্রেন চালানো হবে, তার একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় যাত্রীরা সকাল ৬টার পর থেকেই ট্রেনে যাতায়াত শুরু করতে পারবেন। আর সর্বশেষ ট্রেনেও যাতায়াত যাবে রাত ১০টার পরে।

প্রতিদিন লাইনের নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে সকাল ৬টা ও সাড়ে ৬টায় দুটি ‘সুইপিং ট্রেন’ চালানো হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দ্বিতীয় সুইপিং ট্রেনেই (সকাল সাড়ে ৬টা) প্রথম ট্রিপ শুরু হবে। এতে শুধুমাত্র এমআরটি পাস ও র‌্যাপিড পাসধারী যাত্রীরা উঠতে পারবেন। তবে ট্রেনটি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার গতিতে চলবে। এরপর উত্তরা থেকে সকাল ৭টায় দ্বিতীয় ট্রিপ ছাড়বে। মতিঝিল থেকে ছাড়তে পারে যথাক্রমে সকাল ৭টা ১০ ও ৭টা ২০ মিনিটে। বর্তমানে উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে এবং মতিঝিল থেকে সকাল সাড়ে ৭টায়।

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাতে আরও ৬টি ট্রেন চলবে। এখন শেষ ট্রেন ছাড়ে উত্তরা থেকে রাত ৯টায় এবং মতিঝিল থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। তবে নতুন সূচিতে উত্তরা থেকে রাত ৯টা ১০, ৯টা ২০ ও ৯টা ৩০ মিনিটে ট্রেন ছাড়বে। মতিঝিল থেকে ছাড়তে পারে রাত ৯টা ৫০, ১০টা ও ১০টা ১০ মিনিটে।