287628
শিরোনামঃ
বন্যপ্রাণী রক্ষায় নতুন প্রজন্মের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য- পরিবেশ উপদেষ্টা কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা মোংলায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের তারেক রহমানের পক্ষে সহায়তা প্রদান বিএনপি প্রতিশোধ পরায়ণ দল নয় : নুরুদ্দিন অপু ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের বিক্ষোব ও মশাল মিছিল টিসিবির মাধ্যমে দেশীয় চিনি বিক্রি শুরু হয়েছে এবং তা চলমান থাকবে-শিল্প উপদেষ্টা  বাংলাদেশ মিশন আদ্দিস আবাবায় ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম এর উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় শুভ'র কবর জিয়ারত করলেন শিল্প উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২৫ উদযাপন 'আইএলও' তিনটি কনভেনশন একসঙ্গে অনুসমর্থন এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত-- শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

ধামরাইয়ে অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমান হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার ২

#
news image

ঢাকার ধামরাইয়ে অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমান হত্যাকাণ্ড ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ঢাকা জেলা, গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর আলী ও আলমগীর। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ আসামীদ্বয় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

গত ২৮/১১/২০২৩ তারিখ সকাল ১০.৩০ সকালে ধামরাইয়ের বাইশাকান্দার কেউখালী গ্রামের জনৈক ফজলে মাহবুব এর ধানক্ষেতের পাশে একজন অজ্ঞাতনামা পুরুষের লাশ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকায় প্রেরণ করে। ২৭/১১/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা ০৭.০০ ঘটিকা হইতে ইং ২৮/১১/২০২৩ তারিখ সকাল ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যবর্তী যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা অজ্ঞাতনামা পুরুষকে হত্যা করে হত্যাকান্ডের মূল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অসৎ উদ্দেশ্যে লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় বাদী হয়ে এসআই (নিঃ) আব্দুল জব্বার ধামরাই থানার মামলা নং-১৫, তারিখঃ ১৮/১১/২০২৩ খ্রি., ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। ধামরাই থানার এসআই (নিঃ) পাভেল মোল্লা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন এবং স্থানীয়ভাবে জিজ্ঞাসাপূর্বক মৃতব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করেন। মৃতব্যক্তির নাম সায়েদুর রহমান; তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। পিবিআই এর সিডিউলভুক্ত মামলা হওয়ায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইতে ন্যস্ত হয় এবং বর্তমানে এসআই (নিঃ) আনিসুর রহমান মামলাটি তদন্ত করছেন।

পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই ঢাকা জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার জনাব মোঃ কুদরত-ই-খুদা, পিপিএম-সেবা এর সার্বিক সহযোগিতায় পিবিআই ঢাকা জেলার একটি বিশেষ টিম তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যা ও অটো ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দিগ্ধ আসামি সদর আলী সোহরাব (৪৭) কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডে আনেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সদর আলী সোহরাবের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার মূল আসামি আলমগীর (২৫) কে

গ্রেফতার করা হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ আসামীদ্বয় বিজ্ঞ আদালতে নিজেদের জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

পিবিআই এর তদন্তে, আসামীদের জবানবন্দি পর্যালোচনায় জানা যায় যে, আসামি সদর আলী সোহরাব (৪৭) ও আলমগীর (২৫) এবং আসামি জুয়েল একই বাসায় পাশাপাশি রুমে বসবাস করতো। আলমগীর এবং জুয়েল অবিবাহিত ছিল। পরবর্তীতে সদর আলী সোহরাব (৪৭) এর স্ত্রী ও আসামি জুয়েলের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয় এবং জুয়েল, আলমগীরের সহায়তায় সদর আলী সোহরাব (৪৭) এর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। তারপর আসামী সদর আলী সোহরাব ভিকটিম সায়েদুর রহমানের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্কের চেষ্টা করে এবং আলমগীরও ভিকটিম সায়েদুর রহমানের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়াতে চায়। সদর আলী সোহরাব এর স্ত্রী জুয়েলের সাথে ৬ মাস থাকার পর আবার সদর আলী সোহরাবের কাছে ফিরে আসে।

নগদ টাকার প্রয়োজন হলে সদর আলী সোহরাব, আলমগীর ও জুয়েল ভিকটিম সায়েদুর রহমানের (অটোরিক্সা চালক) অটোরিক্সা ছিনতাই করে বিক্রি করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা সায়েদুর রহমানকে ফুসলিয়ে গান শোনার অজুহাতে বাইরে নিয়ে গিয়ে ফেরার পথে ধামরাই থানাধীন কেষ্টখালি গ্রামের নির্জন স্থানে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে, হাত ও পায়ে রশি বেঁধে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের পর তারা সায়েদুর রহমানের অটোরিক্সা ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে এবং উক্ত টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।

এ বিষয়ে পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ কুদরত-ই-খুদা, পিপিএম-সেবা বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর আমরা ঘটনার বিষয়ে প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্ত শুরু করি। একপর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামী সদর আলী ও আলমগীদ্বয়কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করি। আসামীদ্বয় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। নগদ টাকার প্রয়োজনে পরিকল্পিতভাবে আসামীদ্বয় ভিকটিমকে হত্যা করে তার অটোরিক্সা ছিনতাই করে বিক্রি করেছে। পিবিআই সর্বদা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারো সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

সাভার প্রতিনিধি

২৩-৯-২০২৫ দুপুর ১:৮

news image

ঢাকার ধামরাইয়ে অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমান হত্যাকাণ্ড ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ঢাকা জেলা, গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর আলী ও আলমগীর। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ আসামীদ্বয় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

গত ২৮/১১/২০২৩ তারিখ সকাল ১০.৩০ সকালে ধামরাইয়ের বাইশাকান্দার কেউখালী গ্রামের জনৈক ফজলে মাহবুব এর ধানক্ষেতের পাশে একজন অজ্ঞাতনামা পুরুষের লাশ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকায় প্রেরণ করে। ২৭/১১/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা ০৭.০০ ঘটিকা হইতে ইং ২৮/১১/২০২৩ তারিখ সকাল ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যবর্তী যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা অজ্ঞাতনামা পুরুষকে হত্যা করে হত্যাকান্ডের মূল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অসৎ উদ্দেশ্যে লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় বাদী হয়ে এসআই (নিঃ) আব্দুল জব্বার ধামরাই থানার মামলা নং-১৫, তারিখঃ ১৮/১১/২০২৩ খ্রি., ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। ধামরাই থানার এসআই (নিঃ) পাভেল মোল্লা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন এবং স্থানীয়ভাবে জিজ্ঞাসাপূর্বক মৃতব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করেন। মৃতব্যক্তির নাম সায়েদুর রহমান; তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। পিবিআই এর সিডিউলভুক্ত মামলা হওয়ায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইতে ন্যস্ত হয় এবং বর্তমানে এসআই (নিঃ) আনিসুর রহমান মামলাটি তদন্ত করছেন।

পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই ঢাকা জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার জনাব মোঃ কুদরত-ই-খুদা, পিপিএম-সেবা এর সার্বিক সহযোগিতায় পিবিআই ঢাকা জেলার একটি বিশেষ টিম তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যা ও অটো ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দিগ্ধ আসামি সদর আলী সোহরাব (৪৭) কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডে আনেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সদর আলী সোহরাবের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার মূল আসামি আলমগীর (২৫) কে

গ্রেফতার করা হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ আসামীদ্বয় বিজ্ঞ আদালতে নিজেদের জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

পিবিআই এর তদন্তে, আসামীদের জবানবন্দি পর্যালোচনায় জানা যায় যে, আসামি সদর আলী সোহরাব (৪৭) ও আলমগীর (২৫) এবং আসামি জুয়েল একই বাসায় পাশাপাশি রুমে বসবাস করতো। আলমগীর এবং জুয়েল অবিবাহিত ছিল। পরবর্তীতে সদর আলী সোহরাব (৪৭) এর স্ত্রী ও আসামি জুয়েলের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয় এবং জুয়েল, আলমগীরের সহায়তায় সদর আলী সোহরাব (৪৭) এর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। তারপর আসামী সদর আলী সোহরাব ভিকটিম সায়েদুর রহমানের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্কের চেষ্টা করে এবং আলমগীরও ভিকটিম সায়েদুর রহমানের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়াতে চায়। সদর আলী সোহরাব এর স্ত্রী জুয়েলের সাথে ৬ মাস থাকার পর আবার সদর আলী সোহরাবের কাছে ফিরে আসে।

নগদ টাকার প্রয়োজন হলে সদর আলী সোহরাব, আলমগীর ও জুয়েল ভিকটিম সায়েদুর রহমানের (অটোরিক্সা চালক) অটোরিক্সা ছিনতাই করে বিক্রি করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা সায়েদুর রহমানকে ফুসলিয়ে গান শোনার অজুহাতে বাইরে নিয়ে গিয়ে ফেরার পথে ধামরাই থানাধীন কেষ্টখালি গ্রামের নির্জন স্থানে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে, হাত ও পায়ে রশি বেঁধে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের পর তারা সায়েদুর রহমানের অটোরিক্সা ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে এবং উক্ত টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।

এ বিষয়ে পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ কুদরত-ই-খুদা, পিপিএম-সেবা বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর আমরা ঘটনার বিষয়ে প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্ত শুরু করি। একপর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামী সদর আলী ও আলমগীদ্বয়কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করি। আসামীদ্বয় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। নগদ টাকার প্রয়োজনে পরিকল্পিতভাবে আসামীদ্বয় ভিকটিমকে হত্যা করে তার অটোরিক্সা ছিনতাই করে বিক্রি করেছে। পিবিআই সর্বদা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারো সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।