287628
শিরোনামঃ
বন্যপ্রাণী রক্ষায় নতুন প্রজন্মের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য- পরিবেশ উপদেষ্টা কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা মোংলায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের তারেক রহমানের পক্ষে সহায়তা প্রদান বিএনপি প্রতিশোধ পরায়ণ দল নয় : নুরুদ্দিন অপু ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের বিক্ষোব ও মশাল মিছিল টিসিবির মাধ্যমে দেশীয় চিনি বিক্রি শুরু হয়েছে এবং তা চলমান থাকবে-শিল্প উপদেষ্টা  বাংলাদেশ মিশন আদ্দিস আবাবায় ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম এর উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় শুভ'র কবর জিয়ারত করলেন শিল্প উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২৫ উদযাপন 'আইএলও' তিনটি কনভেনশন একসঙ্গে অনুসমর্থন এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত-- শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

জুলাই আন্দোলন দমনে ৩ লাখ ৫ হাজার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল: ট্রাইব্যুনালে তদন্ত কর্মকর্তা

#
news image

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল‑১-এ সাক্ষ্য প্রদান করেছেন মামলার ৫৪ নম্বর সাক্ষী, তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর। তিনি অব্যাহত রাখলেন তাঁর প্রমাণ ও বিশ্লেষণ, যেগুলো থেকে দাবি করা হচ্ছে যে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমাতে পরিকল্পিতভাবে অত্যাধিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

তিনি আদালতে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর ধরা একটি ২১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় যে, শুধুমাত্র ঢাকায় ৯৫,৩১৩ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল, এবং সারাদেশে মিলে ৩,০৫,৩১১ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে ছিল এলএমজি, এসএমজি, চাইনিজ রাইফেল, শটগান, রিভলভার, পিস্তল ইত্যাদি।


মো. আলমগীর আরও যুক্ত করেছেন, তদন্তে সংগৃহীত আলামত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ (যেমন: পত্রপত্রিকা, ভিডিও ও অডিও ক্লিপ, প্রত্যক্ষদর্শী ও শহীদ পরিবারের সাক্ষ্য, আসামি স্বীকারোক্তি) বিশ্লেষণ করে তিনি দাবি করেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন—এই তিনজন পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছিলেন আন্দোলন দমনে।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট এই সময়কালে একজনেরও প্রাণ নষ্ট করা হবে না, এমন আশ্বাসের বিরুদ্ধে নিরীহ, নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ ছাত্র-জনতার ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার নির্দেশ, উসকানি, অপহরণ, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, সংবেদনশীল তথ্য বিকৃতকরণ, মৃতদেহ দ্রুত দাফনের ঘটনা এবং অন্যান্য ভয়ঙ্কর কার্যক্রম সংঘটিত হয়।

 

অনলাইন ডেস্ক

২৯-৯-২০২৫ রাত ১০:১১

news image

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল‑১-এ সাক্ষ্য প্রদান করেছেন মামলার ৫৪ নম্বর সাক্ষী, তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর। তিনি অব্যাহত রাখলেন তাঁর প্রমাণ ও বিশ্লেষণ, যেগুলো থেকে দাবি করা হচ্ছে যে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমাতে পরিকল্পিতভাবে অত্যাধিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

তিনি আদালতে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর ধরা একটি ২১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় যে, শুধুমাত্র ঢাকায় ৯৫,৩১৩ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল, এবং সারাদেশে মিলে ৩,০৫,৩১১ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে ছিল এলএমজি, এসএমজি, চাইনিজ রাইফেল, শটগান, রিভলভার, পিস্তল ইত্যাদি।


মো. আলমগীর আরও যুক্ত করেছেন, তদন্তে সংগৃহীত আলামত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ (যেমন: পত্রপত্রিকা, ভিডিও ও অডিও ক্লিপ, প্রত্যক্ষদর্শী ও শহীদ পরিবারের সাক্ষ্য, আসামি স্বীকারোক্তি) বিশ্লেষণ করে তিনি দাবি করেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন—এই তিনজন পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছিলেন আন্দোলন দমনে।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট এই সময়কালে একজনেরও প্রাণ নষ্ট করা হবে না, এমন আশ্বাসের বিরুদ্ধে নিরীহ, নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ ছাত্র-জনতার ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার নির্দেশ, উসকানি, অপহরণ, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, সংবেদনশীল তথ্য বিকৃতকরণ, মৃতদেহ দ্রুত দাফনের ঘটনা এবং অন্যান্য ভয়ঙ্কর কার্যক্রম সংঘটিত হয়।